মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভিস্তার আপডেট সংস্করণ হিসেবে ২০০৯ সালে উইন্ডোজ ৭ বাজারে আনে । যা দীর্ঘ সময় ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল । তবে ২০১২ সালে মাইক্রোসফট পূর্ববর্তী সংস্করণের নানা পরিবর্তন এনে নতুন ভাবে সাজিয়ে উইন্ডোজ-৮ প্রকাশ করে। কিন্তু উইন্ডোজ-৮ ভার্সনে নানা সমস্যার কারণে মাইক্রোসফট ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল । ফলশ্রুতিতে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে উইনন্ডোজ-১০ এর অভিষেক হয়। এবং বিনা খচরে উইন্ডোজ-৮ ব্যবহারকারীদের  উইন্ডোজ-১০ আপডেট করার সুযোগ দেয়া হয়। আর ঘোষণা দেয়া হয় উইন্ডোজ-১০ ই হবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের শেষ ভার্সন।

Windows 11, Microsoft Windows 11, New OS, Letest Windows OS News

কিন্তু উইন্ডোজ-১০ এও শুরু থেকে নানা সমস্যা দেখা দেয়, যদিও মাইক্রোসফট নিয়মিত আপডেট দিয়ে সে সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।

তাই মাইক্রোসফট তার প্রতিশ্রুতিতে থেকে বের হয়ে সব ভুলভ্রান্তি দূর করে নতুন করে আগামী ২৪ জুন একটি আধুনিক মাপের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ-১১ সূচনা করতে যাচ্ছে ।

কী থাকছে নতুন উইন্ডোজ-১১ এ?

জানা যায়, নতুন এই সংস্করণটির সাংকেতিক নাম আপাতত ধরা হয়েছে ‘সান ভ্যালি’। মাইক্রোসফট পূর্ববর্তী ভুলত্রুটি দূর করার পাশাপাশি নতুন আইকন যুক্ত,  পূর্ববর্তী আইকন ও ফাইল এক্সপ্লোরারের উন্নয়নসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে।

তবে উইন্ডোজ-১১ এর মূল চমক হচ্ছে এরমাইক্রোসফট স্টোর। এই ভার্সনের জন্য মাইক্রোসফট স্টোরকে নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে । এই স্টোরে সওফটয়ার ডেভেলপাররা তাদের ডেভেলপ করা অ্যাপ্লিকেশন আপলোড করে রাখতে পারবেন এবং ব্যবহারকারীরা ফ্রি কিংবা টাকার বিনিময়ে সেসব অ্যাপ্লিকেশন সরাসরি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে পারবেন, ঠিক যেমনটি গুগল প্লে-স্টোর এর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। 

উইন্ডোজ-১১ এ সিকিউরিটি ফিচারেও বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমান উইন্ডোজ-১০ ব্যবহারকারীরা এই নতুন এই উইন্ডোজ-১১ ভার্সনে আপডেট সুবিধা নাও পেতে পারেন। অর্থ্যাৎ এই ভার্সনটি নতুন করে কিনে নিতে হবে।