ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের জন্য বিশ্বের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম হলো Binance। আপনি যদি ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে একটি ভেরিফাইড বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তবে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। 

এই পোস্টে আমরা দেখাবো কিভাবে বাংলাদেশ থেকে একটি Verified Binance Account তৈরি করবেন। এখানে ধাপে ধাপে Binance Account Registration, KYC verification, 2FA security এবং referral code ব্যবহারের সম্পূর্ণ নিয়ম দেওয়া হয়েছে।


কিভাবে একটি ভেরিফাইড বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট খুলবেন: 

অনলাইনে আয় বা ক্রিপ্টো ইনভেস্টমেন্টের জন্য প্রথমেই একটি নিরাপদ ওয়ালেট প্রয়োজন। বাইন্যান্স বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নিরাপদ মাধ্যম। নিচে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মগুলো দেওয়া হলো:

ধাপ ১: রেজিস্ট্রেশন শুরু করা

প্রথমে আপনার ফোন বা কম্পিউটারের ব্রাউজার থেকে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন অথবা সরাসরি বাইন্যান্স অ্যাপ ডাউনলোড করে Referral ID ব্যবহার করুন।

  • রেফারেল কোড (Referral Code): AFNT477C (এই কোডটি ব্যবহার করলে আপনি ট্রেডিং ফি-তে ডিসকাউন্ট এবং ওয়েলকাম বোনাস পেতে পারেন।)

ধাপ ২: ইমেইল বা ফোন নম্বর দিয়ে সাইন আপ

  • পেজে যাওয়ার পর "Sign up with Email or Phone" বাটনে ক্লিক করুন।
  • আপনার ব্যক্তিগত Email Address অথবা Phone Number দিন।
  • একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন (পাসওয়ার্ডে অন্তত ৮টি ক্যারেক্টার, একটি বড় হাতের অক্ষর এবং একটি সংখ্যা থাকতে হবে)।
  • রেফারেল আইডি বক্সে AFNT477C কোডটি আছে কি না নিশ্চিত হয়ে নিন।
  • "Create Personal Account"-এ ক্লিক করুন।

ধাপ ৩: ভেরিফিকেশন কোড যাচাই

আপনার ইমেইল বা ফোনে একটি ৬ ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোড যাবে। কোডটি সংগ্রহ করে বাইন্যান্সের বক্সে বসিয়ে সাবমিট করুন।

আইডি কার্ড বা এনআইডি (NID) দিয়ে ভেরিফিকেশন (KYC)

Binance এ অ্যাকাউন্ট খোলার পর সেটি ব্যবহারযোগ্য করতে অবশ্যই KYC (Know Your Customer) করতে হবে।

ধাপ ৪: ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

  • অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর "Verify Now" অপশনে ক্লিক করুন।
  • আপনার দেশ হিসেবে Bangladesh সিলেক্ট করুন।
  • আপনার এনআইডি (NID) কার্ড অনুযায়ী সঠিক নাম, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা প্রদান করুন।

ধাপ ৫: ডকুমেন্ট আপলোড (NID/Passport)

  • আপনার কাছে থাকা ডকুমেন্টটি সিলেক্ট করুন (সাধারণত ID Card বা NID সহজ মাধ্যম)।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের সামনের অংশ এবং পিছনের অংশের পরিষ্কার ছবি তুলুন। খেয়াল রাখবেন যেন ছবির চারকোনা স্পষ্ট বোঝা যায় এবং কোনো আলোর প্রতিফলন না পড়ে।

ধাপ ৬: ফেস ভেরিফিকেশন (Face Verification)

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

  • আপনার ফোনের সামনের ক্যামেরা দিয়ে একটি সেলফি তুলুন।
  • এরপর স্ক্রিনে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী মাথা নাড়ান বা মুখ খুলুন।
  • টিপস: ভেরিফিকেশনের সময় মাথায় টুপি, চোখে চশমা রাখবেন না এবং পর্যাপ্ত আলো আছে এমন জায়গায় বসুন।

অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা (Security Tips)

অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে গেলে নিরাপত্তার জন্য নিচের কাজগুলো অবশ্যই করবেন:

  • Two-Factor Authentication (2FA): গুগল অথেন্টিকেটর বা এসএমএস ভেরিফিকেশন চালু করুন।
  • Passkeys: অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য পাসকি সেটআপ করতে পারেন।

উপসংহার

সবকিছু ঠিক থাকলে সাধারণত ৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাইড হয়ে যাবে। ভেরিফাইড হয়ে গেলে আপনার Cryptocurrency Wallet থেকে Deposit করে Trading শুরু করতে পারেন, এছাড়া  আপনি P2P এর মাধ্যমে খুব সহজেই  বিকাশ, নগদ বা রকেটের টাকা দিয়ে ক্রিপ্টো কিনতে পারবেন।